Debosmita Ray
শহর কলকাতার মধ্যে ঝগড়া বিবাদ থাকা সত্ত্বেও কোথাও একটা মিল পাওয়া যাবেই | কোথায় আবার? খাবারে | মনে মনে হাসছেনতাই না? চলুন আপনাদের শহর কলকাতা থেকে একটু ভিতরে নিয়ে যাই যেখানে আমার জন্ম | বারুইপুর|এই জায়গাটিকে গ্রাম ও বলাযায়না আবার শহর বলা যায়না | ইংরেজিতে আমরা বলি ‘sub-urban area’ (সাবার্বান এরিয়া) | বারুইপুর আমার জন্মস্থান, এখানথেকে কোথাও গেলে কিছুদিন তো ভালোলাগে কিন্তু কদিন পর থেকে মনটা কিরমযেন আনচান করে, মনেহয় যে কবে বাড়িফিরবো | কবে বাড়ি গিয়ে সেই পাড়ার মোড়ের কাকুর কাছে থেকে দশটাকার সেই অতি ঝাল ফকুচকাটা মুখ দেব|সেই মদন কাকুর ছোট্ট দোকানের আলুচপের সাধ এখনো যেন মুখে লেগে আছে | যখন কোথাও ঘুরতে যেতাম তাও আবার পুজোরসময়, খুব রাগ হতো বাবার উপর | অষ্টমীর ওই লুচি আলুরদম টা যে মিস হয়ে যেত | কিন্তু জানেন ঘুরে যখন বাড়ির দিকে রওনা দিতাম তখন বুকটা ফেতেযেত কান্নায় | বাড়ি ফিরে সেই পড়াশোনা | যখন সারাদিনের ওই ক্লান্তির পর বাড়ি ঢুকতাম তখন কারোরই আর কাজ করার ক্ষমতা থাকতোনা | কিন্তু মা কে দেখতাম ঠিক রান্নাঘরে গিয়ে আমাদের জন্য কিছু বানাচ্ছে | যখন স্নান করে ওই খিদের মুখে দেখতাম - একটা কাঁসার থালায় গরম ভাত ,তার উপর ঘি ছড়ানো সাথে একটা গোল আকারের আলু সিদ্ধর তাল শুকনো লঙ্কা আর কাঁচা সর্ষের তেল দিয়ে মাখা |একটু ডাল, সাথে একটা মোটা করে ডিম্ ভাজা, আহা! তখন শরীরের সব দুঃখ কষ্টই যেন কোথায় হারিয়ে যেত |
Translation:
Despite the incessant quarrels amidst the city of Kolkata, one can find a definite similarity within. Where? In food! You’re laughing at me, aren’t you? Come, let me take you a little further into the city where I was born. Baruipur. One can neither call this place a village nor a city. In English, we call this the ‘suburban area.’
Baruipur is my birthplace; going elsewhere seems nice for a couple of days, but I yearn immensely to go back home after a while longer. Along with the question of ‘when will I return home?’ comes another longing. When would I get to stuff my face with the ten-rupee, incredibly spicy fuchkas (Bengali panic puri) from my uncle at the corner of my neighbourhood? The taste of the aloo chop (potato cutlet) from Madan Uncle’s small shop still lingers in my mouth.
Whenever we’d travel, particularly during Durga Puja time, I’d get very mad at my father. I’d miss eating the luchi aloo dum (deep-fried puri with potato preparation), especially during Ashtami (the eighth day). Yet, you know, returning home, my chest would burst in sadness - for I’d have to resume studying, of course. After a whole day’s work and fatigue, no one fancied doing any more upon returning. Yet, I’d see my mother go straight to the kitchen to rustle up something to eat for all of us. After freshening up, I’d hungrily look at the bronze plate bedecked with food. Hot rice and boiled potato perfectly shaped like a dome - drenched in ghee, and infused with shukhno lanka (dry chillies) and raw shorshe tel (mustard oil). A little daal (lentils) along with one big, fat fried egg - oh goodness! All the troubles and worries of the body and soul would wash away.
Comentarios